নিজস্ব প্রতিবেদক: মূল্য সূচক ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা বেড়ে গেছে। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে এ বিনিয়োগ বেড়েছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪১ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৯১ হাজার ২৫১ কোটি টাকা। অর্থাৎ ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৬ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৬৭ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। প্রধান মূল্য সূচকরে পাশাপাশি গত সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচক। এর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ২১ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৫ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৩ শতাংশ।
মূল্য সূচকের উত্থানের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৭১টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১২১টির। আর ৬৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮৪৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৯৯০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৪৬ কোটি ৮ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ২২২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৯৬২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ২৬০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। মোট লেনদেন বাড়ার কারণ গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়। গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ গ্রুপ বা ভালো কোম্পানির অবদান ছিল ৭৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এছাড়া ‘বি’ গ্রুপের ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ, ‘জেড’ গ্রুপের ১ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ অবদান ছিল।
গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল, এশিয়া প্যাসেফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো, ব্র্যাক ব্যাংক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, এক্সিপ্রেস ইন্স্যুরেন্স এবং এডিএন টেলিকম।